বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি - বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম
প্রিয় পাঠক ও পাটিকা আসসালামু আলাইকুম, আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি। বাংলাদেশের বিভাগ হল ৮ টি এবং বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম সমূহ আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আপনাদের জানাবো। তাহলে চলুন জেনে আসি বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি।
আজকের আর্টিকেলে আরো যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে তা হলো বাংলাদেশের নতুন বিভাগ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি, বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি, বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম, বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর কয়টি সম্পর্কে।
সূচিপত্র: বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম
বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি
বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক হিসেবে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি।কেননা অনেকেই বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। তাই আজ আপনাদের বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে চলুন জেনে আসি বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি ও কি কি-
বাংলাদেশের মোট বিভাগ ৮টি এবং বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম নিম্নরূপ:
- ঢাকা
- চট্টগ্রাম
- রাজশাহী
- খুলনা
- বরিশাল
- সিলেট
- রংপুর
- ময়মনসিংহ
ঢাকা বিভাগ>
ব্রিটিশ শাসন আমলে তৎকালীন বাংলা প্রদেশের সর্বপ্রথম বিভাগ গঠন করা হয়। সেই সময় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর তিনটি বিভাগ গঠন করা হয়। ঢাকা বিভাগ বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি প্রশাসনিক বিভাগের অন্যতম। এটি বাংলাদেশের রাজধানী নিয়ে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিভাগ এবং ঢাকা এর ইংরেজি নাম "Dacca" কে পরিবর্তন করে "Dhaka" করা হয়।
আপনারা অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন ঢাকা বিভাগ কতটি জেলা নিয়ে গঠিত। সুতরাং ঢাকা যে সকল জেলা নিয়ে গঠিত সেগুলো হল-নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ,, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর জেলা নিয়ে ঢাকা বিভাগ গঠিত। সুতরাং বলা যায় ঢাকা বিভাগ গঠিত মোট ১৩ টি জেলা নিয়ে।
অনেকে ঢাকা বিভাগের আয়তন সম্পর্কে জানতে চান। তাই ঢাকা বিভাগের আয়তন হলো ৭৯৩০ বর্গমাইল জায়গা নিয়ে ঢাকা বিভাগ গঠিত হয়েছে। ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ জেলার হল- টাঙ্গাইল, যার আয়তন ১১.২১ বর্গমাইল। তাছাড়া ঢাকা বিভাগে আরও যে সকল জিনিস বিদ্যমান রয়েছে তা হলো:
- ৪ টি সিটি কর্পোরেশন
- ১৩ টি জেলা
- ৫৮টি পৌরসভা
- ১২৩টি উপজেলা
- ১,২৩৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ
- ১২৭৬৫ টি মজা
- ৫৪৯টি ওয়ার্ড
- ১,৬২৩ টি মহল
- ২৫,২৪৪ টি গ্রাম
ঢাকা বিভাগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে
- মসজিদের সংখ্যা রয়েছে ৫৫০৯০ টি
- মন্দির রয়েছে ৫৫৬৫
- গির্জার সংখ্যা ২৫০ টি
- মাজার রয়েছে ৩০১ টি
- তীর্থস্থান আছে ১৫ টি
- বিশ্ববিদ্যালয় ৭টি
- মেডিকেল কলেজ ২৩টি
- কারিগরি প্রশিক্ষণ কলেজ ২৫টি
- হোমিওপ্যাথিক কলেজ ৩টি
- মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১টি
- টেকনিক্যাল কলেজ ৯টি
- আইন কলেজ ৯টি
- সাধারণ কলেজ ৬৭২টি
- প্রাইমারি শিক্ষক ইনস্টিটিউট ৩টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৮৮৪টি
- কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ৪টি
- কমিউনিটি স্কুল ১৬৫ টি
- ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১৫টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬,১৯৭টি
- স্যাটেলাইট স্কুল ৪৩৩টি
- গণশিক্ষা ৮৫টি
- কিন্ডার গার্ডেন ৩৮৩টি
- মাদ্রাসা ৩২৮৮টি
- মক্তব ৩৮৪টি
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের একটি বিভাগ। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিভাগ। আয়তনে চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের বৃহত্তম বিভাগ। ৮টি বিভাগের মধ্যে বাকি সব বিভাগের তুলনায় চট্টগ্রাম আকারে সবচেয়ে বড় বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগের আয়তন ৩৪,৫৩০ বর্গ কিলোমিটার।
অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম লীলাভূমি। চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র, উপত্যকা, বন-বনানি ইত্যাদি কারণে পর্যটকদের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগ খুবই আকর্ষণীয়। বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার যা চট্টগ্রাম বিভাগের সবচেয়ে দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র গুলির অন্যতম।
চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জেলার সংখ্যা ১১টি এবং জেলাগুলোর নাম:
- যে ১১টি জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত-
- বান্দরবন
- কক্সবাজার
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- চট্টগ্রাম
- কুমিল্লা
- চাঁদপুর
- ফেনী
- খাগড়াছড়ি
- লক্ষীপুর
- নোয়াখালী
- রাঙ্গামাটি
এবার চলুন জেনে আসি চট্টগ্রাম বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ কিছু জ্ঞান:
- ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত হয়।
- চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিভাগ।
- আয়তনের চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের বৃহত্তম বিভাগ।
- চট্টগ্রাম বিভাগের আয়তন ৩৪,৫৩০ বর্গ কিলোমিটার।
- বিভাগের বৃহত্তম জেলা- রাঙ্গামাটি জেলা।
- চট্টগ্রাম বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা- ফেনী জেলা।
- চট্টগ্রামের বিভাগের উল্লেখযোগ্য দ্বীপ: সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন।
- চট্টগ্রাম বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে কর্ণফুলী, হালদা, মেঘনা, তিতাস, ফেনী, সাঙ্গু, এবং মুহুরী নদী উল্লেখযোগ্য।
- চট্টগ্রাম বিভাগের জেলার সংখ্যা ১১টি।
- চট্টগ্রাম বিভাগের উপজেলার সংখ্যা ১০১টি।
- চট্টগ্রাম বিভাগে পৌরসভা ৪৪টি।
- চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বমোট সংসদীয় আসন ৫৮টি।
- চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী।
- চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাক্ষরতার হার- ৫২.৯%।
- চট্টগ্রাম বিভাগের জনসংখ্যার ঘনত্ব- ৮৩৮ জন।
- বাংলাদেশের সরকারের সিংহভাগ রাজস্ব আয় আসে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে।
- বাংলাদেশের বৃহত্তম বাঁধ ও একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চট্টগ্রাম বিভাগের।
- চট্টগ্রাম বিভাগে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী চাকমা সহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সিংহভাগের বসবাস।
- প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, অনুপম সেন, সূর্য সেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ড. মোহাম্মদ ইউনুস, পদার্থবিদ ড. জামাল নজরুল ইসলাম, জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম, সাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এবং আবুল ফজল এরা সবাই চট্টগ্রাম বিভাগের সন্তান।
- এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আ হ ম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল,আ জ ম নাসির উদ্দিন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ অনেক বিখ্যাত রাজনীতিবিদ চট্টগ্রাম বিভাগের সন্তান।
- কুমার বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চূ, পার্থ বড়ুয়া সহ অনেক বিখ্যাত গায়ক চট্টগ্রাম বিভাগের সন্তান।
- আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, তামিম ইকবাল, আফতাব আহমেদ সহ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় চট্টগ্রাম বিভাগের সন্তান।
- ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম আসেন বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বাতুতা।
- বারা আউলিয়ার মাজার, মাইজভান্ডার দরবার শরীফ, গনিসার মাজার, বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার, বদর আউলিয়া মাজার সহ অনেক বিখ্যাত মাজার রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে।
- রসমালাই, ছানামুখী-মিষ্টি, খাদি, বেলা-বিস্কুট, শুটকি, আচার, ইলিশ মাছ, জাব্বারের-বলি খেলা, মাজার, পান-সুপারি ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত চট্টগ্রাম বিভাগ।
সুতরাং আপনারা নিশ্চয় চট্টগ্রাম বিভাগ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।তাছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানানো হয়েছে আজকের আর্টিকেলে।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিভাগ। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে রাজশাহী বিভাগ গঠিত হয়। গাছের বিভাগ বাংলাদেশের তৃতীয় বিভাগ। এর জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি এবং আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার। রাত্রে বিবেকের উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে পদ্মা, যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা, করতোয়া উল্লেখযোগ্য।
রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ রাজশাহী বিভাগের চারটি প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র এবং বড় জেলা। নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং জয়পুরহাট প্রধান কৃষি এলাকা। রাজশাহী হল এই বিভাগের রাজধানী।
রাজশাহী বিভাগের জেলার সংখ্যা এবং জেলাগুলোর নাম:
- যে আটটি জেলা নিয়ে রাজশাহী বিভাগ গঠিত-
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- জয়পুরহাট
- রাজশাহী
- নওগাঁ
- নাটোর
- পাবনা
- সিরাজগঞ্জ
- বগুড়া
- ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ আমলের আছে বিভাগ গঠিত হয়।
- রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের তৃতীয় বিভাগ।
- রাজশাহী বিভাগের আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার।
- রাজশাহী বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা- জয়পুরহাট জেলা।
- রাজশাহী বিভাগের বৃহত্তম জেলা-নওগাঁ।
- রাজশাহী বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে পদ্মা, মেঘনা, আত্রাই, মহানন্দা, করতোয়া উল্লেখযোগ্য।
- বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলাভূমি চলন বিল রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।
- রাজশাহী বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং জয়পুরহাট।
- রাজশাহী বিভাগের স্বাক্ষরতার হার- ৪৮%।
- রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যার ঘনত্ব- ১০১৮ জন।
- রাজশাহী বিভাগের জেলার সংখ্যা-৮টি।
- রাজশাহী বিভাগের উপজেলা ৬৭টি।
- রাজশাহী বিভাগে পৌরসভা ৪৯টি।
- সিটি কর্পোরেশনের সংখ্যা ১টি।
- ইউনিয়নের সংখ্যা ৫৬৮টি।
- রাজশাহী বিভাগে সর্বমোট সংসদীয় আসন- ৩৯টি।
- খালেদ মাসুদ পাইলট, মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান সহ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় আছে বিভাগের সন্তান।
- জাহিদ হাসান, আমজাদ খান চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, বিদ্যা সিনহা মিম সহ অনেক বিখ্যাত অভিনেতা আছে বিভাগের সন্তান।
- আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, রানী ভবানী, অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ নাসিম, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলক, মনজুর আলম সহ অনেক রাজনীতিবিদ এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্ম রাজশাহী বিভাগে।
- শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি বিকাশে রাজশাহী বিভাগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। সংগীত ভাওয়াইয়া, গম্ভীরা ইত্যাদি রাজশাহী বিভাগে বিখ্যাত।
- ফরিদা পারভিন, জেমস সহ অনেক বিখ্যাত গায়কের আচ্ছায় বিভাগের সন্তান।
- রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-পাহাড়পুর বৌদ্বিবিহার, মহাস্থানগড়, পুঠিয়া রাজবাড়ী, বাঘা মসজিদ, উত্তরা গণভবন, ছোট সোনা মসজিদ ইত্যাদি।
- নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দই, কালাই রুটি, পদ্মার ইলিশ, আম, লিচু ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত রাজশাহী বিভাগ।
খুলনা বিভাগ
খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ১৯৬০ সালের পাকিস্তান আমলে খুলনা বিভাগ গঠিত হয়। পাকিস্তান আমলে গঠিত একমাত্র বিভাগ এটি। খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের চতুর্থ বিভাগ। এর জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি এবং আয়তন ২২,২৮৫ বর্গ কিলোমিটার। এই বিভাগের সদর দপ্তর খুলনা শহর হল ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর।
পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা বিভাগের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে সুন্দরবন আয়তনভুক্ত।
খুলনা বিভাগে জেলার সংখ্যা এবং জেলাগুলোর নাম:
- যে ১০টি জেলা নিয়ে খুলনা বিভাগ গঠিত-
- বাগেরহাট
- চুয়াডাঙ্গা
- যশোর
- ঝিনাইদহ
- খুলনা
- সাতক্ষীরা
- নড়াইল
- মেহেরপুর
- মাগুরা
- কুষ্টিয়া
- ১লা অক্টোবর ১৯৬০ সালে পাকিস্তান আমলে খুলনা বিভাগ গঠিত হয়।
- খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের চতুর্থ বিভাগ।
- খুলনা বিভাগের আয়তন ২২,২৮৫ বর্গ কিলোমিটার।
- খুলনা বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা- মেহেরপুর জেলা।
- খুলনা বিভাগের বৃহত্তম জেলা- খুলনা জেলা।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুন্দরবন বন্দর খুলনা বিভাগের যশোর অবস্থিত।
- বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দর খুলনা বিভাগে।
- ১৯১২ সাল থেকে খুলনা বিভাগের নদী পথে স্টিমার (স্টিমবোট) চলাচল করে।
- পাকিস্তান আমলে গঠিত একমাত্র বিভাগ খুলনা বিভাগ।
- খুলনা বিভাগের প্রধান নদ নদীর মধ্যে: গঙ্গা, মধুমতি, ইছামতি, কপোতাক্ষ, কুমার, রুপসা, ভৈরব, চিত্রা, পশুর, রায়মঙ্গল, মাথাভাঙ্গা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- খুলনা বিভাগের জাতীয় সংসদ আসন সংখ্যা- ০৬টি।
- খুলনা বিভাগের সাক্ষরতার হার- ৫০%।
- খুলনা বিভাগের জনসংখ্যার ঘনত্ব- ৭০০/বর্গ কিলোমিটার।
- খুলনা বিভাগের জেলার সংখ্যা- ১০টি।
- বিভাগের উপজেলার সংখ্যা- ৫৯টি।
- খুলনা বিভাগে পৌরসভা ২৮টি।
- কর্পোরেশন সংখ্যা ১টি।
- খুলনা বিভাগের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- সুন্দরবন, যশোরে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভিটা, কুষ্টিয়ার কবি রবীন্দ্রনাথের ভিটা ও লালন শাহ এর মাজার, বাগেরহাটে ষাট গম্বুজ মসজিদ সহ অনেক দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে খুলনা বিভাগে।
- মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (বীরশ্রেষ্ঠ) এবং নুর মোহাম্মদ শেখ (বীরশ্রেষ্ঠ) খুলনা বিভাগের সন্তান।
- মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুল বাশার সুমন, ইমরুল কায়েস, রুবেল হোসেন শহর জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক আবেগ ও বর্তমান খেলোয়ার খুলনা বিভাগের সন্তান।
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সালমা খাতুন (অধিনায়ক), জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদ, শারমিন রত্না এরা সবাই খুলনা বিভাগের সন্তান।
- শাবনূর, মৌসুমী, ববিতা, সুচন্দা, পরীমনি সহ অনেক বিখ্যাত অভিনেত্রী খুলনা বিভাগের সন্তান।
- খুলনা বিভাগের বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকরা হলেন-মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ফররুখ আহমদ, সৈয়দ আলী আহসান, কাজী ইমদাদুল হক, গোলাম মোস্তফা, ছড়াকার আবু সালেহ, যতীন্দ্রমোহন বাগচী এরা সবাই খুলনা বিভাগের সন্তান।
- খান জাহান আলী, লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী এরা সবাই খুলনা বিভাগের সন্তান।
- নারিকেল, গলদা চিংড়ি, সন্দেশ, পান সুপারি, রসমালাই, মিষ্টি সাবিত্রী, খেজুরের গুড় ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত খুলনা বিভাগ।
আশা করি খুলনা বিভাগ সম্পর্কে আপনারা যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন এবং আপনাদের খুলনা বিভাগের অজানা সব তথ্যগুলো আজকের আর্টিকেলে জানানো হয়েছে। চলুন নিচে জেনে আসি বরিশাল বিভাগ সম্পর্কে।
বরিশাল বিভাগ
‘ধান- নদী-খাল এই তিনে বরিশাল'। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘প্রাচ্যের ভ্যানিস’ খ্যাত এই স্থানের পূর্ব নাম চন্দ্রদ্বীপ। তারও আগে এর নাম ছিল বাকলা।
১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০১ সালে জেলার সদর দপ্তর বাকেরগঞ্জ জেলাকে বরিশালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর থেকে এই জেলাটি বরিশাল জেলা নামেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এ অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে অফুরন্ত ধন-সম্পদ আর সীমাহীন প্রাচুর্য।
বরিশাল অঞ্চল পূর্বে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত ছিল। ১৯৯৩ সালে ছয়টি জেলা নিয়ে গঠিত হয় বরিশাল বিভাগ। জেলাগুলো হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি। বরিশাল বিভাগে রয়েছে উপরের ৬টি জেলা ও ৪২টি উপজেলা।
শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, রাজনীতিবিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত, দানবীর খান বাহদুর হেমায়েত উদ্দিন, মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত, রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস, সৈয়দ হাতেম আলী, কবি সুফিয়া কামাল, কবি কামিনী রায়, কবি আসাদ চৌধুরী সহ অসংখ্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের জন্ম এই বরিশালে।
এছাড়া বেশ কিছু দর্শনীয় ও চোখজুড়ানো স্থান রয়েছে বরিশাল বিভাগে। তার মধ্যে উজিরপুরের গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, বরিশাল সদর রোডের বিবির পুকুর, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা ও দপদপিয়া শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক), বিভাগীয় যাদুঘর, ব্রজমোহন কলেজ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, গজনীর দীঘি, সেইন্ট পিটার চার্চ, ত্রিশগোডাউন নীদর পাড়, মাধবপাশা দুর্গাসাগর দিঘি, উজিরপুরের সাতলার বিল, বাবুগঞ্জের লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, স্বরূপকাঠি আটঘর কুরিয়ানার ভাসমান পেয়ারার বাজার, বরিশালের চরমোনাই, পিরোজপুরের শর্ষীনা, ঝালকাঠির নেছারাবাদ, বরগুনা বেতাগির মোকামিয়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ইয়ারউদ্দিন খলিফা দরবার ইত্যাদি।
পর্যৃটন এলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ভোলার চর কুকরী মুকরী, তাড়ুয়া দ্বীপ, জ্যাকব টাওয়ার ও দ্বীপ উপজেলা মনপুরা, রাঙাবালি সোনারচর, বরগুনার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত প্রভৃতি।
বরিশাল বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদীসমূহ হচ্ছে- কীর্তনখোলা, মেঘনা, তেতুলিয়া, আড়িয়াল খাঁ, ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা-সুগন্ধ্যা, পায়রা, বলেশ্বর, বিষখালী প্রভৃতি। এসব নদ-নদী বরিশাল বিভাগকে জালের মতো বিস্তৃত করে রেখেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে বরিশাল। পায়রা সমূদ্রবন্দর, তাপ বিদ্যূৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।
বরিশাল অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে কবি জীবনানন্দের ভাষায় বলতেই হয়- আবার আসিব ফিরে, ধান সিড়িটির তীরে…. এই বাংলায়।
সিলেট বিভাগ
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অন্যতম বিভাগ। প্রাচীনকালে এটি শ্রীহট্টের কেন্দ্রীয় প্রদেশ ছিল। ১৯৯৫ সালে ১লা আগস্ট চারটি জেলা নিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বিভাগ সিলেট গঠিত হয়। এই বিভাগের মোট আয়তন ১২,৫৯৬ বর্গ কিলোমিটার। সিলেট বিভাগ শিল্প ও শিল্পদ্রব্য (সার, সিমেন্ট, সিলেট পাল্পস এন্ড পেপার মিলস, ছাতক, বিদ্যুৎ), প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ (গ্যাস, তেল, পাথর, চুনাপাথর) ইত্যাদিতে ভরপুর। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম।
সিলেটের ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। এখানে হযরত শাহজালাল (রাঃ) এবং হযরত শাহপরান (রাঃ) সহ অনেক বিখ্যাত পীরের মাজার রয়েছে। সিলেট বিভাগের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতে অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।
বিভাগে জেলা সংখ্যা এবং জেলাগুলোর নাম নিম্নরূপ:
- যে ৪টি জেলা নিয়ে সিলেট বিভাগ গঠিত-
- সিলেট
- হবিগঞ্জ
- মৌলভীবাজার
- সুনামগঞ্জ
- সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়- ১লা আগস্ট, ১৯৯৫।
- সিলেট বাংলাদেশের-ষষ্ঠ বিভাগ।
- সিলেট বিভাগের আয়তন- ১২,৫৯৬ বর্গ কিলোমিটার।
- সিলেট বিভাগের জনসংখ্যার ঘনত্ব- ৭৮৪ জন।
- সিলেট বিভাগের স্বাক্ষরতার হার- ৪৫%।
- উপজেলা ৩৫টি।
- পৌরসভা ১৪টি।
- ইউনিয়ন ৩২৩টি।
- সিলেট বিভাগের বৃহত্তম জেলা-সুনামগঞ্জ।
- সিলেট বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা-হবিগঞ্জ।
- সিলেট বিভাগে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা- ১৯টি।
- বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন সিলেট ১আসন। বলা হয় এ আসনে নির্বাচিত রায় সরকারী দল গঠন করে।
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন সিলেটের সন্তান এম এ জি ওসমানী।
- ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্বদের অন্যতম ছিলেন সিলেটের সন্তান বিপিন চন্দ্র পাল।
- সিলেটি লন্ডন প্রবাসীরা বাংলায় টাউন গঠন করে ব্রিটেনের বুকে গড়েছেন এক টুকরো ছোট্ট বাংলাদেশ।
- স্বাধীন বাংলাদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিকে এগিয়ে তোলার রূপকার সিলেটের সন্তান এম সাইফুর রহমান। সর্বাধিক সংখ্যক বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। সিলেটের আরও দুই কৃতি অর্থনীতিবিদ শাহ এম এস কিবরিয়া ও আবুল মাল আবদুল মুহিত।
- বাংলা সাহিত্যের জাদুঘর সৈয়দ মুজতবা আলী সিলেটের সন্তান।
- বাংলাদেশে নিযুক্ত একমাত্র ব্রিটিশ শ বাংলাদেশি এমপি সিলেটি বংশদূত রুসনারা আলী।
- আমেরিকার পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি সিনেটর সিলেটি বংশধর হাস্মি ক্লার্ক।
- একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটেনের রানীর কাছ থেকে নাইট উপাধি নিন সিলেটের সন্তান স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
- ব্রিটেনের রানীর অফিসিয়াল শেফের দায়িত্ব কৃতিত্বের সাথে পালন পালন করেছেন সিলেটের সন্তান টমি মিয়া।
- বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও সংস্থা ব্র্যাক এর প্রতিষ্ঠাতা সিলেটের সন্তান সার ফজলে হাসান আবেদ।
- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীন সাইন্টিস্টদের অন্যতম সিলেটের সন্তান ডঃ আবেদ।
- ফ্লোরা-ভাইরাসের আবিষ্কারক চিকিৎসা বিজ্ঞানী সায়মা আমিন সিলেটের সন্তান।
- সিলেটিদের পাঠানো রেমিটেন্স গত 40 বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
- জাতিসংঘের প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশী স্পিকার সিলেটের সন্তান হুমায়ুন রশিদ।
- সুবীর নন্দী, হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, রাধা রমন, দূরবীন শাহ, শুভ্র দেব সকলেই সিলেটের সন্তান।
- সিলেটের চা, জলচুপি-আনারস, কমলার খ্যাতি বিশ্বজোড়ে।
সুতরাং আপনারা সবাই জানতে পারলেন সিলেট বিভাগের অজানা সব তথ্য সম্পর্কে। আশা করি উপরে তথ্যগুলো দ্বারা আপনি সিলেট বিভাগ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আপনাদের জানাবো রংপুর বিভাগ সম্পর্কে।
রংপুর বিভাগ
রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে গঠিত। ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে ঘোষিত হয়। রংপুর বিভাগের জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি এবং আয়তন ১৬,৩২০ বর্গ কিলোমিটার। রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম। রংপুর বিভাগ কৃষি, প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।
রংপুর বিভাগে জেলার সংখ্যা এবং জেলাগুলোর নাম:
- যে ৮টি জেলা নিয়ে রংপুর বিভাগ গঠিত-
- কুড়িগ্রাম
- গাইবান্ধা
- ঠাকুরগাঁও
- দিনাজপুর
- নীলফামারী
- পঞ্চগড়
- রংপুর
- লালমনিরহাট
- ২৫ জানুয়ারি ২০১০ সালের রংপুর বিভাগ গঠিত হয়।
- রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ।
- রংপুর বিভাগের আয়তন-১৬৩২০ বর্গ কিলোমিটার।
- রংপুর বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা-লালমনিরহাট জেলা।
- রংপুর বিভাগের বৃহত্তম জেলা-দিনাজপুর জেলা।
- বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, আত্রাই, করতোয়া, কাটাখালি, কুলিক, তিস্তা, দুধকুমার, নাগর, বাঙালি, মহানন্দা, গঙ্গাধর উল্লেখযোগ্য।
- রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলা-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম।
- রংপুর বিভাগের সাক্ষরতার হার-৫১%
- রংপুর বিভাগের জনসংখ্যার ঘনত্ব-৯৭৫ জন।
- রংপুর বিভাগের জেলা সংখ্যা-৮টি।
- রংপুর বিভাগের উপজেলা ৫৮ টি।
- রংপুর বিভাগে পৌরসভা ৩১ টি।
- সিটি কর্পোরেশন সংখ্যা-১টি।
- ইউনিয়নের সংখ্যা ৫৩৪ টি।
- রংপুর বিভাগের সর্বোচ্চ সংসদীয় আসন-৩৩টি।
- হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ (সাবেক রাষ্ট্রপতি), জি এম কাদের (রাজনীতিবিদ), ড. ওয়াজেদ মিয়া(পারমাণবিদ), শাহ আব্দুল হামিদ (রাজনীতিবিদ), বেগম রোকেয়া (সাহিত্যিক), শেখ ফজলুল করিম (কবি ও সাহিত্যিক), আনিসুল হক (লেখক) সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এবং রাজনীতিবিদদের জন্ম রংপুর বিভাগের।
- লোক সংগীত ভাওয়াইয়া রংপুর বিভাগে বিখ্যাত।
- রংপুর বিভাগের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-তিস্তা ব্যারেজ, তাজহাট রাজবাড়ী, ভিন্নজগৎ পার্ক, রংপুর চিড়িয়াখানা, চিকলি বিল ও পার্ক, হাতীবান্ধা মাজার শরীফ, টাউন হল, শ্বাশত বাংলা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ধর্মপালের রাজবাড়ী, নীলসাগর ইত্যাদি।
- তামাক, ইক্ষু, আদা, চা পাতা, ক্ষীরমোহন মিষ্টান্ন, রসমঞ্জরী মিষ্টি, সূর্যপুরী আম, ডোমারের সন্দেশ ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত রংপুর বিভাগ।
ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর এবং মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত। ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের অষ্টম এবং সর্বশেষ বিভাগ। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ৪টি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ নামে নতুন বিভাগ ঘোষণা করা হয়। এই বিভাগের আয়তন ১০,৪৮৫ বর্গ কিলোমিটার ও জনসংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার জন। ময়মনসিংহ বিভাগের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা সংখ্যা ও জেলাগুলোর নাম নিম্নরূপ:
- যে ৪টি -জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত
- ময়মনসিংহ
- জামালপুর
- শেরপুর
- নেত্রকোণা
- ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়।
- ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের অষ্টম এবং সর্বশেষ বিভাগ।
- ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ঢাকা বিভাগ ভেঙ্গে নতুন ময়মনসিং বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেন।
- ময়মনসিং বিভাগের আয়তন ১০ হাজার ৪৮৫ বর্গ কিলোমিটার।
- ময়মনসিংহ বিভাগ জনসংখ্যা 1 কোটি 13 লাখ 70 হাজার জন।
- ময়মনসিং বিভাগের জেলা সংখ্যা-৪টি।
- ময়মনসিংহ বিভাগের বৃহত্তম জেলা-ময়মনসিংহ জেলা।
- ময়মনসিংহ বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা-শেরপুর জেলা।
- ময়মনসিং বিভাগের উপজেলা ৩৫টি।
- ময়মনসিংহ বিভাগে পৌরসভা ২৫ টি।
- ময়মনসিংহ বিভাগের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
- ময়মনসিংহ বিভাগের সর্বমোট সংসদীয় আসন-২৪টি।
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিং বিভাগের।
- জাতীয় চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষা আন্দোলনের সহিত আব্দুল জব্বার, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এরা সবাই ময়মনসিংহ বিভাগের সন্তান।
- বাংলাদেশের পাট উৎপাদনের শীর্ষে ময়মনসিং বিভাগ।
- শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সূতিকাগার ময়মনসিংহ বিভাগ।
- ময়মনসিংহ গীতিকা, মহুয়া, মরুয়া, দেওয়ানা মদিনা, চন্দ্রাবতী, কবিকঙ্ক, দীনেশচন্দ্র সেন এবং মুক্তাগাছার মন্ডার জন্য বিখ্যাত ময়মনসিংহ বিভাগ।
বাংলাদেশের নতুন বিভাগ
ফরিদপুর সহ পদ্মা পাড়ের ৫টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ঢাকা থেকে বেরিয়ে নতুন বিভাগের। ১৯৮৫ সাল থেকে নানা ফোরামে দাবি তুলে আসছিলেন তারা। সেই হিসেবে প্রায় ৩৭ বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের নতুন বিভাগ গঠন করার।
এখন প্রশ্ন হল বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি?
অনেক তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম পদ্মা বিভাগ। কিন্তু প্রকৃত অর্থে পদ্মা বিভাগ নামের পরিবর্তে ফরিদপুর বিভাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। সুতরাং বিভাগ হচ্ছে ফরিদপুর। কেননা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন আজ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত বাস্তবায়ন কমিটির নিকারের বৈঠকে উঠতে পারে ফাইল।
এই খবরে উচ্ছ্বাসিত ফরিদপুরবাসী। এদিকে ফরিদপুর বিভাগের নাম পদ্মা বিভাগ করায় হতাশ ফরিদপুরবাসী। তাদের দাবি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ঘোষণা দেওয়া হোক।
এক সময় পদ্মা নদীর কারণে ঢাকার সাথে যোগাযোগ কষ্টকর হওয়ায় ফরিদপুর বরাবরই ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। ফরিদপুর, সৈয়দপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ কে নিয়ে ফরিদপুর কে বিভাগ ঘোষণার দাবি ওঠে ১৯৯৫ সাল থেকে। কিন্তু নানা কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি বাংলাদেশের নতুন বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন করে বিভাগ বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ফরিদপুরবাসী। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নে সেই দাবী এখন আরো জোরালো। অবশেষে বিভাগ বাস্তবায়নের খবরে উচ্ছ্বাসিত ফরিদপুরবাসী।
প্রস্তাব রয়েছে বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা নিয়ে ”পদ্মা বিভাগ” গঠনের। কিন্তু ওই এলাকার মানুষ বলছে ফরিদপুরের সাথে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর শৈশব স্মৃতি তাই বিভাগের নাম পদ্মার পরিবর্তে ফরিদপুরই হোক।
এদিকে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন এরই মধ্যে ফরিদপুর জেলাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশের নতুন বিভাগ করার সিদ্ধান্ত।। তাছাড়া ফরিদপুর জেলা গঠিত হয় ১৮১৫ সালে।
সুতরাং উপরোক্তা আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পারলেন ভবিষ্যতের বাংলাদেশের নতুন বিভাগ কোনটি হতে পারে। আশা করি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আরো অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি
আমরা অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করি যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি। তাছাড়া শিক্ষার জীবনে বা চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এই প্রশ্নটির উত্তর জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই আজ আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি। তাহলে চলুন নিম্নে বিস্তারিত জেনে আসি:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ হল- চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের একটি বিভাগ। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিভাগ, আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিভাগ নামে পরিচিত, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের ৮টি প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে বৃহত্তম। এটি ৩৪,৫৩০ বর্গ কিলোমিটার (১৩,৩৩৩ বর্গ মাইল) এবং ২০২২ সালের আদমশুমারি ৩ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ৩২৬ জনসংখ্যা সহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলিকে কভার করে। চট্টগ্রাম বিভাগের জনসংখ্যার ঘনত্ব- ৮৩৮ জন। প্রশাসনিক বিভাগে মূল ভূখণ্ডের চট্টগ্রাম জেলা , পার্শ্ববর্তী জেলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের আবাসস্থল কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত, সেইসাথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীর। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ ১১ টি জেলা নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের সরকারের সিংহভাগ রাজস্ব আয় আসে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে। বাংলাদেশের বৃহত্তম বাঁধ ও একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চট্টগ্রাম বিভাগের।
সুতরাং আপনারা নিশ্চয় জানতে পারলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি। আশা করি পড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি এই বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা না। নিচে আলোচনা করব বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি সে সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আমার দেশের কোন বিভাগটি সবচেয়ে ছোট এটি জানা আমার কর্তব্য। তাই আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। তাহলে চলুন জেনে আসি বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি:
বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ হলো-ময়মনসিং বিভাগ। ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর এবং মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত। ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের অষ্টম এবং সর্বশেষ বিভাগ। ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ৪টি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ নামে নতুন বিভাগ ঘোষণা করা হয়।
২০২২ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর আয়তন ১০,৪৮৫ বর্গ কিলোমিটার (৪০৪৮ বর্গ মাইল) ও জনসংখ্যা ১ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৯৮ জন। ময়মনসিংহ বিভাগের উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ময়মনসিং বিভাগের সদর দপ্তর ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ শহরে।
সুতরাং উপরের বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি। আশা করি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন কেননা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কী-ওয়ার্ড: বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি, বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম বাংলাদেশের নতুন বিভাগ, বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি, বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি।
শেষ কথা: বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাছাড়া আজকে আর্টিকেলে আরো যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশের নতুন বিভাগ, বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ কোনটি, বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।