OrdinaryITPostAd

আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম, আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হলো আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - আয়াতুল কুরসীর বাংলা উচ্চারণ, আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহিহ্ হাদিস, আয়াতুল কুরসী ১০ টি ফজিলত, ফজরের নামাজের পর পড়ার ফজিলত, ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত, আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ছবি  সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ  সম্পর্কে-

আয়াতুল কুরসী পূর্ণরূপে কুরআনের সূরা "আল-বাকারা" সূরার অংশ। এটি কুরআনের সূরা নং ২, আয়াত নং ২৫৫। আয়াতুল কুরসী আল-বাকারা সূরার শেষ পাঁচটি আয়াতের মধ্যে অবস্থিত। এই আয়াতটি আল্লাহর প্রশংসা ও মহানতা বর্ণনা করে এবং তাঁর সর্বশক্তিমান সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কে উল্লেখ করে। এই আয়াতটি মুসলিম সম্প্রদায়ে সম্পর্কিত মাহাত্ম্যময় এবং এর পাঠ করা এবং সংকীর্ণ প্রশংসা বহন করে।

সূচিপত্রঃ আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ 

আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ্ হাদিস

আয়াতুল কুরসী ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য সহীহ্ হাদিস রয়েছে। সুতরাং চলুন আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ্ হাদিস গুলো জানা যাক-

১। হযরত আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑপ্রতি ফরয নামাযের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসী পড়বে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না। (ইবনে সুন্নীঃ ১২০, নাসায়ী, ইবনু হিব্বান, হাদীস সহীহ, শায়খ আলবানী, সিলসিলা সহীহাহঃ ৯৭২)

২। উবাই বিন কা’ব রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ উবাই বিন কা’বকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার কাছে কোরআন মজিদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসি, তারপর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন, আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। (মুসলিম ১৩৯৬)

৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। (বায়হাকি)

৪। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সুরা বাকারার মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যে আয়াতটি পুরো কোরআনের নেতাস্বরূপ। তা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান বের হয়ে যায়। তা হলো ‘আয়াতুল কুরসি’। (মুসনাদে হাকিম)

৫। হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. থেকে বর্ণিত, তাঁর একটি খেজুর শুকানোর জায়গা ছিল। তাতে খেজুর হ্রাস পেত। এক রাতে তিনি পাহারায় রইলেন। হঠাৎ তিনি কিশোরের মতো এক প্রাণী দেখতে পেলেন। সে তাকে সালাম দিল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোন্ জাতির? জিন না মানব? সে বলল, জিন। তিনি বললেন, তোমার হাত দাও তো দেখি। সে হাত বাড়িয়ে দিল। দেখা গেল তার হাত ও পশম কুকুরের হাত ও পশমের মতো। সে বলল, এটা জিনের গঠন। সে আরো বলল, জিনেরা জানে, তাদের মধ্যে আমার চেয়ে শক্তিশালী আর কোনো পুরুষ নেই। তিনি বললেন, কী উদ্দেশ্যে এসেছ? সে বলল, আমি জানতে পেরেছি, আপনি সাদাকা করতে পছন্দ করেন। তাই আপনার খাদ্যবস্তু (খেজুর) থেকে নিতে এসেছি। তিনি বললেন, তোমাদের (অনিষ্ট) থেকে আত্মরক্ষার উপায় কী?

সে বলল, সূরা বাকারার এই আয়াতটি- ”আয়াতুল কুরসী”। যে তা সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত আমাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। আর যে সকালে পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বিষয়টি জানালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খবীস সত্য বলেছে। সহীহ্ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৭৮৪; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২০৬৪

সুতরাং উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ্ হাদিস গুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম। আপনি যদি আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ্ হাদিস বইগুলো পড়তে পারেন। তাহলে আপনার নিশ্চয়ই আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ্ হাদিস এর বর্ণিত বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছে।

আয়াতুল কুরসির ১০ টি ফজিলত

আয়াতুল কুরসির ফজিলত সংখ্যায় অনেক। আয়াতুল কুরসির ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়াতুল কুরসি ফজিলত সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেছেন। সুতরাং আজকের আর্টিকেলে আমি গুরুত্বপূর্ণ আয়াতুল কুরসির ১০ টি ফজিলত বর্ণনা করবো।এটি কোরআনের সূরা আল-বাকারার আয়াত নম্বর ২৫৬। এই আয়াতটি মুসলিমদের মধ্যে অত্যন্ত মুখ্য একটি আয়াত। আয়াতুল কুরসির ১০ টি ফজিলত নিম্নে বর্ণিত হলোঃ

১. সুরা আয়াতুল কুরসি সমস্ত শারিরিক ও মানসিক অস্থিরতাকে বাধাগ্রস্ত করে ও রক্ষা করে। যারা এই আয়াতটি পড়ে এবং সেটির মানে সম্পূর্ণ মনে রাখে, তাদের উপর আল্লাহর কয়েকটি বিশেষ রক্ষা বসে রয়েছে।

২. আয়াতুল কুরসি মুসলিমদের সংকট, ভয়, দুশ্চিন্তা এবং প্রতারণার প্রতি রক্ষা করে এবং তাদেরকে নিরাপদে রাখে।

৩. আয়াতুল কুরসি মুসলিমদের ঈমান ও আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি মানসিক শান্তি, আনন্দ ও ত্রাণ প্রদান করে এবং শয়তান ও অশুভ বশকে পরাজিত করে।

৪. আয়াতুল কুরসি বস্তুসম্পত্তির উন্নয়নে সাহায্য করে। যারা এটি পড়ে দৈনন্দিন জীবনে এটির অর্থ বুঝে নিয়মিত পাঠ করে, তাদের উপর আল্লাহর রহমত ও বরকতি বর্ষিত হয়ে ওঠে।

৫. আয়াতুল কুরসি মৃত্যুর আগে এবং মৃত্যুর পরে মুসলিমদের সুরক্ষা করে। এটি জীবনের সমস্যা ও বিপর্যয় থেকে মুসলিমদের রক্ষা করে এবং জান্নাতের দরজায় স্থান বিনয় করে।

৬. আয়াতুল কুরসি মুসলিমদের পড়া, শুনা এবং মনে রাখা জরুরি করে। যারা এটি দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হিসাবে গ্রহণ করে এবং সেটির মানে মনে রাখে, তাদের জীবনে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।

৭. আয়াতুল কুরসি পাঠ করার পর মুসলিমদের উচ্চারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফজিলত ও আজর বর্ষিত হয়। এটি মানসিক ও দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করে এবং বারকাহ প্রদান করে।

৮. আয়াতুল কুরসি মুসলিমদের পাঠ করার পর উচ্চ আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতা প্রদান করে। এটি মানসিক ও দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করে এবং বারকাহ প্রদান করে।

৯. আয়াতুল কুরসি মুসলিমদের পাঠ করার পর সকল অশুভ ও ক্ষতিকর শক্তিকে বাধা দেয়। এটি মানসিক ও দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করে এবং বারকাহ প্রদান করে।

১০. আয়াতুল কুরসি পাঠ করার পর মুসলিমদের মনে অপরিহার্য শান্তি এবং সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান করে। এটি মানসিক ও দৈনন্দিন কাজে সহায়তা করে এবং বারকাহ প্রদান করে।

আয়াতুল কুরসির ১০ টি ফজিলত, আয়াতুল কুরসির আরও অনেক ফজিলত এবং মাহত্ত্বপূর্ণ মাহামারি রয়েছে। মুসলিমদের জীবনে এই আয়াতটি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এই আয়াতটি পড়া এবং তার মানে সম্পূর্ণ মনে রাখা উচিত। আয়াতুল কুরসি একটি পবিত্র আয়াত যা ঈমান ও সুরক্ষার জন্য মুসলিমদের নিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। আশা করি আমার আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের আয়াতুল কুরসির ১০ টি ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করতে পেরেছি।

ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত সম্পর্কে অনেক ও মাহাত্ম্য বর্ণিত করা হয়েছে। সুতরাং নিম্নে ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত কিছু ফজিলত এবং মাহাত্ম্যগুলি দেওয়া হল-

১. ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া একটি প্রামাণিক সূর্যপ্রাপ্তি বা প্রাপ্যতা দেয়। মানে, যদি একজন মুসলিম ফরজ নামাজ আদায় করে এবং এর পরে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তাহলে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সুন্দর প্রতিষ্ঠা পায়।

২. ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া জান্নাতের দরজায় স্থান পেয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। অর্থাৎ, একজন মুসলিম যদি ফরজ নামাজ পড়ে এবং এর পরে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তাহলে তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।

৩. ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া পরিপূর্ণ শীতলতা এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে। মানে, ফরজ নামাজ শেষ করে আয়াতুল কুরসি পড়লে মনটি শান্ত হয়ে যায় এবং আন্তরিক শান্তির অনুভূতি হয়।

এগুলি মাত্র কিছু ফজিলত যা ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত এর জন্য বর্ণিত করা হয়েছে। এজন্য একজন মুসলিম প্রতিদিন ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত গ্রহণ করা উচিত এবং ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে অত্যন্ত সুন্দর ফল পাবেন আল্লাহর দরবারে।

ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

আয়াতুল কুরসি হলো কুরআনের সুরা আল-বাকারার আয়াত নং ২৫৬ এর বাংলা অনুবাদ। এই আয়াতে মানে হলো:
"আল্লাহ! তুমি জীবন ও মৃত্যুর বেশীরই জ্ঞাত। আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা তোমাকেই সম্পর্কিত। আল্লাহ বাধ্যতামূলক প্রশংসা পেয়েছেন প্রশাসকের সমস্ত অনুমতির চেয়ে বেশী। আল্লাহ যাহার উপস্থিতিতে বসেন বা চলেন না তিনি যত্নসহকারে তাঁর উপস্থিতিতে বসেন এবং আল্লাহর মহিমা সম্পন্ন বিষয়ে যাবেন তিনি নিরপেক্ষ নয়।"

এই আয়াতটির ফজিলত মোস্ত হাদিস গ্রন্থে প্রমাণিত আছে। কিছু ফজিলতঃ
  • আয়াতুল কুরসি পড়লে মৃত্যু ও সায়ামরক প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহর পাকে রক্ষা বিধান হয়ে থাকে।
  •  আয়াতুল কুরসি পড়ার মাধ্যমে মন্দ জিন্দাবাদ, জাদুতন্ত্রবাদ ও নজরের অপরাধ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
  •  আয়াতুল কুরসি পড়ার পরিণামে অনেক বেশী সওয়াব লাভ হয়।
এছাড়াও আয়াতুল কুরসি পড়াটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। এটি আল্লাহর একমাত্র আয়াত যা আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির সময় সৃষ্টি হয়েছিল। সুতরাং এই আয়াতটির পাঠ আমাদের ঘুমানোর আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি অনুশ্রান্ত অবস্থায় আল্লাহের দরবারে পড়া। এটি হাফেজ করলে আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা হয়ে থাকে এবং ঘুম সুখপ্রদ হয়ে থাকে।

তবে, আয়াতুল কুরসি পড়া কেবলমাত্র ঘুমানোর আগেই নয়। সেই প্রথম পড়ার পরেও আমরা আয়াতুল কুরসি পড়তে পারি যেন আমাদের নিজের ওপর আল্লাহর কাছে রক্ষা থাকে। এছাড়াও আয়াতুল কুরসি পড়া ইসলামে প্রায় সব মুসলিমের মধ্যে একটি প্রচলিত আদত। ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি পড়াটি পাঠ করে সাময়িক রক্ষা পাওয়ার জন্য আদর্শ মনে করা হয়।

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পবিত্র কোরআন করতে পারে না। তাই অনেক সময়  কোন হাদিস মুখস্ত বা পড়ার জন্য বাংলা উচ্চারণ অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই নিম্নে আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেয়া হলোঃ
  • আয়াতুল কুরসির আরবি উচ্চারণ
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
  • আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)।
  • আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ
অর্থ: আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়ার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ছবি

আয়াতুল কুরসি পড়ার সুবিধার্থে আপনাদের জন্য আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ছবি আমার আর্টিকেলে অন্তর্ভুক্ত করলাম। কেননা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ছবি যদি আপনারা আপনাদের ফোনে ডাউনলোড করে রাখেন তাহলে খুব সহজে যে কোন জায়গায় আপনি ছবিটি দেখে দেখে আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ করতে পারবেন। সুতরাং আপনাদের জন্য আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ছবি নিম্নে দেওয়া হলোঃ

শেষ কথাঃ আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ 

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারলেন আয়াতুল কুরসীর ফজিলত - আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ,  আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহিহ্ হাদিস, আয়াতুল কুরসী ১০ টি ফজিলত, ফজরের নামাজের পর পড়ার ফজিলত, ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত, আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ছবি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তাই আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪