পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩
Onlinetech IT
10 Jun, 2023
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহ রহমতে আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজ আপনাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম ও পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে অবহিত করব। কেননা আপনারা অনেকেই হইতো জানেন না পাসপোর্ট করার নিয়ম কি বা পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
তাই আজ আপনাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম -পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে,পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে,পাসপোর্ট আবেদনপত্র,পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে,আবেদনপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া,পুলিশ ভেরিফিকেশন,পাসপোর্ট ছবি নির্বাচন,পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করা,পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি নিয়মে কাজ করলে আপনি পার্থক্য করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না তা আজ আপনাদের জানাবো।
পাসপোর্ট কি ?
পাসপোর্ট হলো একটি আইডেন্টিটি ডকুমেন্ট যা কোনও দেশের নাগরিকদের বিদেশে ভ্রমণের সময় সনদপত্র হিসেবে ব্যবহার হয়। এটি দেশের সম্প্রতি ব্যবহৃত পাসপোর্ট অথবা যাত্রা দলের সদস্যের স্বাক্ষর, ছবি, নাম, জাতীয়তা, জন্মতারিখ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সহ থাকে।
পাসপোর্টে আছে একটি আইডেন্টিটি নম্বর এবং এটি দেশের সম্প্রতি পাসপোর্ট প্রদান করার অধিকারী প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রতীত করার জন্য নির্ধারিত মেয়াদ। পাসপোর্ট ধারকদের কাছে এই দলিল দেয় যে তারা কোনও দেশে আপনার প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার অধিকারী হয়। যাত্রার সময় পাসপোর্ট দরকার হয় কারণ এটি যাত্রীর পরিচয় প্রমাণ করে এবং দেশে অবৈধ প্রবেশের প্রতিরোধ করে।
পাসপোর্ট প্রকারভেদ
পাসপোর্টের প্রকারভেদ দেশ থেকে দেশে ভিন্নতা দেখাতে পারে। তবে প্রকারভেদ নিম্নরূপ হতে পারে:
রেজুলার পাসপোর্ট: এটি সাধারণত যাত্রা এবং পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত প্রতি দেশের নাগরিকদের জন্য প্রদান করা হয়।
অফিশিয়াল পাসপোর্ট: এটি সরকারি কর্মকর্তাদের এবং সরকারি নির্দেশনালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য প্রদান করা হয়। এটি সরকারি বিষয়বস্তু বন্ধুত্ব ও পরিবেশ তত্ত্বের সম্পর্কে যাত্রা করতে ব্যবহৃত হয়।
ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট: এটি দূতাবাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রদান করা হয়। এটি সরকারি ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক ও আর্থিক কাজে যাত্রা করতে ব্যবহৃত হয়।
সার্ভিস পাসপোর্ট: এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাত্রার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন কার্যক্রম, মিশন বা সেবা সংশ্লিষ্ট কাজে যাত্রা করতে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিটি পাসপোর্ট প্রকারভেদে আপনার প্রবেশের অধিকার এবং যাত্রার ধরন সম্পর্কে বিশেষ নিয়মাবলী আছে যা প্রযোজ্য হতে পারে। পাসপোর্ট প্রকারভেদ ও নিয়মাবলী প্রতিটি দেশের নিয়ামক প্রাধিকার বা পাসপোর্ট অফিস দ্বারা নির্ধারণ করা হয়।
আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য কিছু প্রমাণপত্র এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। নিম্নলিখিত তথ্যগুলি পাসপোর্ট আবেদন করার সময় সামগ্রিকভাবে সম্পাদন করতে হবে বলে মনে রাখবেন:
আবেদন ফরম: আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে একটি পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমে আপনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, ইমেল এবং ফোন নম্বর ইত্যাদি সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
প্রমাণপত্র: আবেদন ফরমের সাথে আপনার অভিভাবকের সাক্ষর এবং তিনটি ২x২ সেন্টিমিটার আকারের ছবি সংযোজিত করতে হবে। ছবিতে আপনার মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে এবং স্বচ্ছতার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জন্ম সনদ: আপনার জন্ম সনদকে ইস্যু করা নোটারাইজড/অথেনটিকেটেড কপির সাথে সংযোজন করতে হবে।
ঠিকানা প্রমাণপত্র: আপনার স্থায়ী ঠিকানা সম্পর্কিত প্রমাণপত্রও দিতে হবে। এটি অভিভাবকের নামে করা যেতে পারে এবং বাসা ভাড়া নতুন করে করেনার কপি সহ করা যেতে পারে।
নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার কার্ড বা অন্যান্য সরকারি প্রমাণপত্র আপনার নাগরিকত্ব সনাক্ত করার জন্য দরকার।
বিদেশ ভ্রমণের জন্য টিকিট: পাসপোর্ট অফিস প্রাপ্তির পর আপনাকে বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রমাণপত্র সরবরাহ করতে হতে পারে। সাধারণত, এটি আপনার উড়ান টিকিট হতে পারে।
অতঃপর, আপনার পাসপোর্ট আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন হবে এবং আপনি একটি নিয়মিত নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবেন। অবশিষ্ট প্রক্রিয়া দ্বারা পাসপোর্ট অফিস এবং সরকারি নির্দেশিত সময়সূচি অনুসরণ করতে হবে। পাসপোর্ট অফিস সর্বাধিকতম ক্ষমতায় পাসপোর্ট ইস্যু করে দেয়, যা সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে ঘটে যেতে পারে। আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে পারেন।
পাসপোর্ট আবেদন পত্র প্রাপ্ত করতে পারেন বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে বা ফিজিক্যালি যে কোনও পাসপোর্ট অফিস থেকে। আবেদন পত্রটি অনলাইনে ডাউনলোড করতে নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে যান এবং আবেদন পত্র সেকশনে প্রবেশ করুন।
আবেদন পত্র ডাউনলোড লিঙ্ক খুঁজে বের করুন এবং সেটি ডাউনলোড করুন। আপনি সরাসরি এই লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারেন:[পাসপোর্ট আবেদনপত্র ডাউনলোড]
ডাউনলোড করা পত্রটি সম্পূর্ণ করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন, যেমন জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি।
আবেদন পত্রটি সম্পূর্ণ করার পর, অফলাইনে অথবা অনলাইনে সঠিকভাবে জমা দিন।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি পাসপোর্ট ইন্টারভিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে যাওয়ার জন্য পুতিমাতা দেওয়া হবে।
ইন্টারভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনি আপনার পাসপোর্ট সঠিক সময়ে পাবেন।
অফিসে জমা দেওয়ার পূর্বে আপনার পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা অফিসের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট পত্রের সম্পূর্ণতা ও অফিসে যে কোনও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার আবেদনপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হতে পারে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
অনেকেই পাসপোর্ট করতে আগ্রহী থাকে কেননা বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয় কিন্তু আমরা সঠিকভাবে জানি না যে বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে। সুতরাং বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে নিম্নলিখিত রকম সংখ্যার হতে পারে, যা দেশের নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। এই মূল্যগুলো ২০২৩ সালের তথ্য উল্লেখ করেছি, তবে আপনার বিষয়বস্তুত তথ্যের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট অথবা সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
এছাড়াও অতিরিক্ত সার্ভিস ফি প্রদান করতে হতে পারে, যেমন পাসপোর্ট সংশোধন, ত্তম পাসপোর্ট জমা, দ্রুত পাসপোর্ট প্রদান ইত্যাদি। এই ফির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট সার্ভিসের প্রকার এবং জরুরি কেসে পরিবর্তিত হতে পারে। সার্ভিস ফি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট অথবা অফিসের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনারা হয়তো আমার আর্টিকেল এর এ বিষয়বস্তুটি করার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে।
আবেদনপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া
পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আবেদন ফরমটি জমা দিতে পারেন:
১. আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন: পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন। আপনি সরাসরি এই লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারেন: [পাসপোর্ট আবেদনপত্র ডাউনলোড]
২. আবেদন ফরম সম্পূরণ করুন: ডাউনলোড করা ফরমটিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। তথ্যের মধ্যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পরিবারের তথ্য, ঠিকানা ইত্যাদি থাকবে। আপনার সঠিক নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি নির্দিষ্টভাবে লিখুন। যদি কোনও তথ্য পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে সরাসরি নতুন তথ্য সংশোধন করুন।
৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংযুক্ত করুন: আবেদন ফরম সংযুক্ত করার সময়, আপনাকে পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট দফা সাথে যেকোনও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে। সাধারণত নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজন হতে পারে:
জন্মনিবন্ধন সনদ (মূল এবং স্বাক্ষরিত অনুলিপি)
জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এবং স্বাক্ষরিত অনুলিপি)
বৈবাহিক সনদ (যদি প্রয়োজন হয়)
সনাক্তকরণ চিঠি (বাংলাদেশে থাকার ক্ষেত্রে)
৪. আবেদনপত্র জমা দিন: সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা এবং সংযুক্ত ডকুমেন্টগুলি সহ আবেদনপত্রটি অফিসে জমা দিন। যেখানে আপনাকে একটি পাসপোর্ট ইন্টারভিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া হবে। ইন্টারভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনি আপনার পাসপোর্ট সঠিক সময়ে পেতে পারেন।
আপনার পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা নিকটস্থ অফিসে যোগাযোগ করে আবেদন ফরম সম্পর্কিত নির্দেশাবলী এবং যেকোনও অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে পারেন।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন হলো পাসপোর্ট আবেদনকারীর ব্যক্তিগত ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্যের যাচাই করার পদ্ধতি। এটি পাসপোর্ট ইস্যু করার আগে পাসপোর্ট অফিস দ্বারা প্রয়োজনীয় ধাপ হিসাবে অবলম্বন করা হয়। পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলি প্রয়োজন হতে পারে:
আবেদনপত্র ও যাচাইকৃত পাসপোর্ট কপি: আবেদনপত্রের মূল এবং যাচাইকৃত পাসপোর্টের স্বাক্ষরিত কপি সংযুক্ত করতে হবে।
পাসপোর্ট সাইজের ছবি: আবেদনকারীর নিজস্ব ছবি যেটি পাসপোর্টে ব্যবহার করা হবে, তার সঠিক পাসপোর্ট সাইজের একটি ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
ব্যক্তিগত ও ঠিকানার কাগজপত্র: জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, বৈবাহিক সনদ (যদি থাকে) এবং ঠিকানা সনদ যেমন বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল, টেলিফোন বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি সংযুক্ত করতে হবে।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি: প্রয়োজন হলে অন্যান্য কাগজপত্রগুলি যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, নিয়োগপত্র ইত্যাদি সংযুক্ত করতে হবে।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরে, পাসপোর্ট অফিস আপনার আবেদনপত্র এবং সংযুক্ত কাগজপত্রগুলি যাচাই করবে এবং আবেদন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবেন। ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়ে যাবে।
পাসপোর্ট ছবি নির্বাচন
পাসপোর্ট ছবি নির্বাচন করার সময় নিম্নলিখিত সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত:
স্পষ্টতা ও মুখ ভালভাবে দেখার নিশ্চয়তা রয়েছে: ছবিটি আপনার স্পষ্ট মুখ দেখাবে এবং অপরিবর্তিত মুখের সঙ্গে মিল খাবে। আপনার চোখ, নাক, মুখ এবং মাথার আংশগুলি পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে।
মুখ ছড়িয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে থাকতে হবে: ছবিতে আপনি নিঃশ্বাস নিয়ে থাকতে হবেন। মুখ খোলা ও অপরিবর্তিত অবস্থায় ছবিটি তুলতে হবে।
সম্পূর্ণ মুখ এবং টাকা দেখাবার জন্য অত্যন্ত নির্দিষ্ট ছবি সীমা থাকে: পাসপোর্ট ছবিতে আপনার সম্পূর্ণ মুখ ও টাকা সঠিকভাবে দেখানো হতে হবে। ছবিটি সীমিত অবস্থায় থাকা উচিত, মাথা, গলা এবং শুল্কগুলি দেখানো না যায়।
আপনি একটি আকর্ষণীয় মুখে হতে পারেন, তবে অসম্প্রসারণীয় ছবি থাকা উচিত: ছবিতে আপনি আকর্ষণীয় হতে পারেন, কিন্তু এটি অসম্প্রসারণীয় হতে পারে না। সাধারণত পাসপোর্ট ছবি অনেক জটিল বা আকর্ষণীয় স্টাইলের না হয়ে সাধারণত একটি সাদামুখী ছবি পছন্দ করা হয়।
যদি আপনি পাসপোর্ট আবেদনের জন্য ছবি তৈরি করতে যাচ্ছেন, তবে পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশিত ছবি নির্দ্বিধান এবং সীমার অনুসারে তারা ছবি তৈরি করতে পারেন। আরও সম্পূর্ণ তথ্য এবং নির্দেশনাগুলির জন্য আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস চেক
পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। পাসপোর্ট অফিস আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস এবং আপনার আবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে।
পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পরিবর্তে আপনি অনলাইনে এই তথ্য যাচাই করতে পারেন যদি আপনার দেয়া যায়। অনেকে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা পাসপোর্ট অফিসের অফিশিয়াল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করেন। আপনার পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন এবং পাসপোর্টের আবেদন নম্বর, অন্যান্য আপডেট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি প্রদান করতে পারেন।
তবে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা উচিত, কেননা প্রক্রিয়াটি পাসপোর্ট অফিসের নীতিমালা এবং প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হতে পারে। তাছাড়া এটি পাসপোর্ট করার নিয়ম অন্তর্ভুক্ত একটি প্রক্রিয়া।
পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে
অনেকে হয়তো জানেন না পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে এই কারণে অনেকে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। আজ আপনাদের জানাতে চলেছি পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে বা কতদিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায় পাসপোর্ট ইস্যুর প্রক্রিয়া আপনার আবেদনের পরে শুরু হয়। সাধারণত পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় ৪ - ৬ সপ্তাহের মধ্যে। এটি আপনার আবেদনের সময়সূচি, পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম এবং অন্যান্য পরিস্থিতিতে ভিন্ন হতে পারে।
পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে তা নির্ধারিত নয়, বিশেষ কারণে কিছুটা কম অথবা বেশি সময় লাগতে পারে, যেমন হাজীরা মুসাফিরের সংখ্যা বেশি থাকলে বা কোনও পাসপোর্ট অফিসে অস্থায়ী সমস্যা বা অন্যান্য জরুরী পরিস্থিতি হয়ে উঠলে। পাসপোর্ট অফিসের নিকটবর্তী যোগাযোগ করে আপনি আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান স্ট্যাটাস জানতে পারেন এবং তারা কখন আপনার পাসপোর্ট তৈরি করা হবে সে সম্পর্কে আপডেট পাওয়া যাবে।
পাসপোর্ট ইস্যুর সময়সূচি একটি প্রক্রিয়ার সারিগ্রাহী অংশের মাধ্যমে কার্যকর হয়। এই প্রক্রিয়াটি পাসপোর্ট অফিসের নীতিমালার অধীনে চালিত হয় এবং সাধারণত একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। নিম্নলিখিত ধাপসমূহ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
১. আবেদন জমা দেওয়া: পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংগ্রহ করে সঙ্গে নিতে হবে।
২. ডকুমেন্ট যাচাই ও ভেরিফিকেশন: আপনার জমাদান করা আবেদন ও ডকুমেন্টগুলি পাসপোর্ট অফিস দ্বারা যাচাই ও ভেরিফিকেশন করা হবে। আপনার ওয়েলফেয়ার প্রস্তাবনা এবং আবেদনপত্রে প্রদত্ত সমস্ত তথ্যগুলি পরীক্ষা করা হবে।
৩. ছবি নির্বাচন ও প্রয়োগ: আপনার সঠিক ছবি নির্বাচন করা হবে এবং আপনার আবেদনের জন্য প্রয়োগ করা হবে। ছবিতে আপনার মুখ পর্যালোচনা করা হবে এবং নির্দিষ্ট নির্দেশনাবলী অনুসারে ছবি তৈরি করা হবে।
৪. আবেদনের প্রক্রিয়ায় জরুরী তথ্য যাচাই: আবেদনের প্রক্রিয়ায় আপনার জরুরী তথ্য যাচাই করা হবে। তথ্য সঠিকতা ও যাচাইযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তথ্য পরীক্ষা করা হয়।
৫. পাসপোর্ট তৈরি: যদি সমস্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তবে আপনার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। পাসপোর্ট তৈরির পর তা আপনাকে সুপারিশকৃত পাসপোর্ট অফিসে ডেলিভারি করা হয়।
সাধারণত এই প্রক্রিয়া অন্তর্গত হওয়ার জন্য ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে সময় লাগে। তবে এটি ক্ষেত্রমত পরিবর্তিত হতে পারে এবং স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসের নীতিমালার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনি পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে আপনার আবেদনের বর্তমান স্থিতি এবং সময়সূচি জানতে পারেন। সুতরাং আমি হয়তো আপনাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারলেন পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩,পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে,পাসপোর্ট আবেদনপত্র,পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে,আবেদনপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া,পুলিশ ভেরিফিকেশন,পাসপোর্ট ছবি নির্বাচন,পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করা,পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগেসম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তাই আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।