তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি রেখে গিয়েছেন। প্রিয় বন্ধু আপনি কি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি সম্পর্কে জানতে চান? আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি সহ আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি গুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি গুলো জেনে নেওয়া যাক।
কনন্টেট সূচিপত্রঃ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা
- ভূমিকা
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস অবদান
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস কি কি
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন সমাজ
- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সমগ্র
- উপসংহার
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাঃ ভূমিকা
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ২০ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কথা সাহিত্যিক। তিনি তার জীবনকালের অনেকগুলো সাহিত্য ছোটগল্প নাটক প্রবন্ধ লিখেছেন। এই আর্টিকেলে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় কবিতা, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস অবদান, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় উপন্যাস বৈশিষ্ট্য, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস কি কি? তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন সমাজ এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সমগ্র জানানো হবে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি
মহৎ ব্যক্তিদের উক্তি আমাদের জীবনে অনেক বেশি কাজে লাগে। আর আমরা যখন কোন বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়ি তখন তাদের কথাগুলো এবং কাজগুলো আমাদের অনুপ্রেরণা জাগায়। আগামীর প্রজন্মের জন্য তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি করে গিয়েছেন। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ প্রেমের কবিতা ১০০+ সেরা ভালোবাসার কবিতা
১। নিজের পূণ্যের কথা বললে সে পূণ্য ক্ষয় হয়, কীর্তির কথা বললে সে কীর্তির বুনিয়াদে ফাটল ধরে, নিজের বেদনার কথা বললে নিজের আপমান করা হয়; নিজের সুখের কথা বললে অহংকারের পাপ স্পর্শ করে”
৪। মেয়েদের মা সাজিবার শক্তি সহজাত।
৫। পরের দূঃখের জন্যে যে কাঁদতে পারে, সে মহৎ; কিন্তু অকারণ অপরাধের দায়ে নিজেকে দায়ী করে পীড়ন করার নাম দুর্বলতা।
৬। বিচার নিষ্ঠুর নয়, সে সাংসারিক সুখদুঃখের গণ্ডির উর্ধ্বে। জাস্টিস ইজ ডিভাইন।
৭। সুখের মধ্যে মানুষকে চিনতে পারা যায় না, বিলু! দুঃখের দিনেই মানুষকে ঠিক বোঝা যায়। আগে মনে হত এমন স্বার্থপর নীচ গ্রাম আর নাই!
৮। যাইবার সময় সে বলিয়া গিয়াছে- খোকার ভার তোমার উপর রহিল, আরও রহিল ঘর-দুয়ারি-মরাই-গরি-বাছুর-ধান-জমি-সবের ভার। তুমি আমার ঘরের লক্ষ্মী, তুমি চঞ্চল হইলে চলিবে না। সর্ব-অবস্থায় অচলা হইয়া থাকতে হবে।
৯। মরিলেও নাকি মানুষের স্বভাব যায় না।
১০। কাঁদিলে তাহার বুকের ভিতরে গভীর যন্ত্রনাদায়ক আবেগটা কমিয়া যায়। কাঁদিতে কাঁদিতে সে কিছুক্ষণ পর তৃপ্তি অনুভব করে, তাহার পর একটা আনন্দ পায়।
সংগ্রহঃ mukhosh.net
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা রচনা করেছেন অনেকগুলোই। তিনি একজন কথা সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি তার জীবনকালে অনেকগুলো পুরস্কার জিতেছেন। এখনো অনেকে রয়েছে যারা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা পছন্দ করে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাঃ ১
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাঃ ২
আত্মরক্ষা যেমন সহজ প্রবৃত্তি, সাধারণ ধর্ম-তেমনি আত্মত্যাগ, পরার্থে আত্ম বিসর্জনও মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, মহত্তর ধর্ম"
"মা যদি সন্তানকে হত্যা করে নিজের প্রাণের জন্য, পিতা যদি পুত্র হত্যা করে নিজের প্রাণের জন্য, বড় ভাই যদি অসহায় দুর্বল ছোট ভাইকে হত্যা করে নিজের প্রাণ রক্ষা করে মহত্তর মানবধর্ম বিসর্জন দেয়, সবল যদি দুর্বলকে রক্ষা না করে, তবে এই মানুষের সমাজ আর পশুর সমাজে প্রভেদ কোথায়?
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাঃ ৩
মৃত্যুযন্ত্রণার মধ্যেও তৃষ্ণার্ত মানুষ নিজের মুখের সামনে তুলে ধরা জলের পাত্র অন্য তৃষ্ণার্তের মুখে তুলে দিয়ে বলে, ' দাই নীড ইজ গ্রেটার দ্যান মাইন। লক্ষ লক্ষ এমনই ঘটনা ঘটেছে। নিত্য ঘটছে অহরহ ঘটছে। কিন্তু এ মহাসত্যকে কে অস্বীকার করবে যে, যে মরণোন্মুখ তৃষ্ণার্ত নিজের মুখের জল অন্যকে দিয়েছিল, তার তৃষ্ণার যন্ত্রণা আর অবধি ছিল না।
সংগ্রহঃ goodreads.com
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস অবদান - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস বৈশিষ্ট্য
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস অবদান রেখেছে অনেক। তারাশঙ্করের আঞ্চলিক জীবন ভাবনার উপন্যাসগুলি বাংলা সাহিত্য বৈচিত্র এনে দিয়েছে। মূলত স্বাধীনতা প্রাপ্তির অবহিত পরেই লিখনের দীর্ঘ অঞ্চল নিয়ে উপন্যাস। তারাশঙ্কর তার উপন্যাস সাহিত্যে গ্রাম বাংলাকে উপস্থাপন করেছেন। সাধারণত তাই তার উপন্যাস গুলো মানুষের কাছে এত জনপ্রিয়। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস অবদান অতুলনীয়।
আরো পড়ুনঃ বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক কবিতা - বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস বৈশিষ্ট্য সবার থেকেও আলাদা। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন কথা সাহিত্যিক। ২০ শতাব্দীর মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব ও জটিলতায় তারাশঙ্করের রচনায় ধরা পড়েছে। পুরা বাংলার মানুষ তার সাহিত্যের উপজীব্য বিশেষভাবে বীরভূম অঞ্চলের সকল পেশার, সকল জাতির মানুষের চিত্র তিনি তার উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তার উপন্যাস সাহিত্যের মধ্যে গ্রাম বাংলার শিল্প সম্মতভাবে উপস্থাপন করেছেন। এটি হলো তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং মূল। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় তার উপন্যাসে আদিম জীবন, পরিবর্তনশীলতাকে সংঘাতকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেই ক্ষেত্রে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস কি কি? তা আমাদের জানা উচিত।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস কি কি?
তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের জীবন দশায় বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসগুলোকে তিন পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে। নিচে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস কি কি? তা উল্লেখ করা হলোঃ
- চৈতালি ঘূর্ণি -- ১৯৩০
- পাষাণপুরী -- ১৯৩৩
- রাইকমল -- ১৯৩৩
- আগুন -- ১৯৩৭
- ধাত্রীদেবতা -- ১৯৩৯
- কালিন্দী -- ১৯৪০
- রাধা -- ১৯৫৭
- সপ্তপদী -- ১৯৫৭
- কবি -- ১৯৪২
- নাগিনী কন্যার কাহিনী -- ১৯৫২
- আরোগ্য নিকেতন -- ১৯৫৩
- বিচারক -- ১৯৫৬
- গণদেবতা -- ১৯৪২
- সন্দীপন পাঠশালা -- ১৯৪৬
- পঞ্চগ্রাম -- ১৯৪৪
- মঞ্জুরী অপেরা -- ১৯৬৩
- শতাব্দীর মৃত্যু -- ১৯৭২
সংগ্রহঃ উইকিপিডিয়া
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন সমাজ
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক ছিলেন। তৎকালীন সময়ে তার লেখা উপন্যাস, কবিতা ছোটগল্প কেউ পড়েনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলা ভাষায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথা সাহিত্যিক এবং গল্প লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় তৎকালীন সমাজ ছিল অন্যরকম। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি করে গিয়েছেন যা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।
১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে এক ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উল্লেখ্য, ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারের সমস্যা ও লাভপুর সন্নিহিত অঞ্চলের সাধারণ জনজীবন পরবর্তীকালে তারাশঙ্করের আঞ্চলিক উপন্যাসগুলির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছিল।
তাঁর পিতার নাম ছিল হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতার নাম ছিল প্রভাবতী দেবী। ১৯০৫ সালেই পিতৃহারা হয়েছিলেন তারাশঙ্কর। ১৯১৬ সালে লাভপুরের যাদবলাল এইচ ই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে কলকাতায় আসেন এবং প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ও পরে সাউথ সাবআর্বান কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু ভগ্নস্বাস্থ্য ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তিনি লেখাপড়া সম্পূর্ণ করতে পারেননি।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সমগ্র
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সমগ্র রচনা করেছেন অনেক সুন্দর ভাবে। যা একজন পাঠককে মুগ্ধ করবেন। তিনি তার গল্পের মধ্যে সবসময়ই গ্রাম বাংলার বৈচিত্র কে তুলে ধরতেন। নিচে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সমগ্র উল্লেখ করা হলো।
ছলনাময়ী -- (১৯৩৭)
জলসাঘর -- (১৯৩৮)
রসকলি -- (১৯৩৯)
তিন শূন্য -- (১৯৪২)
প্রতিধ্বনি -- (১৯৪৩)
বেদেনী -- (১৯৪৩)
দিল্লী কা লাড্ডু -- (১৯৪৩)
যাদুকরী -- (১৯৪৪)
স্থলপদ্ম -- (১৯৪৪)
তেরশো পঞ্চাশ -- (১৯৪৪)
প্রসাদমালা -- (১৯৪৫)
হারানো সুর -- (১৯৪৫)
ইমারত -- (১৯৪৭)
আরো পড়ুনঃ চুল ঘন করার উপায় ৭ দিনে - চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
রামধনু -- (১৯৪৭)
আয়না -- (১৯৬৩)
চিন্ময়ী -- (১৯৬৪)
একটি প্রেমের গল্প -- (১৯৬৫)
তপোভঙ্গ, দীপার প্রেম -- (১৯৬৬)
নারী রহস্যময়ী -- (১৯৬৭)
পঞ্চকন্যা -- (১৯৬৭)
শিবানীর অদৃষ্ট -- (১৯৬৭)
গোবিন সিংয়ের ঘোড়া -- (১৯৬৮)
জয়া -- (১৯৬৮)
এক পশলা বৃষ্টি -- (১৯৬৯)
মিছিল -- (১৯৬৯)
উনিশশো একাত্তর -- (১৯৭১)
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতাঃ উপসংহার
তারাশঙ্কট বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস অবদান, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস বৈশিষ্ট্য, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস কি কি? তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন সমাজ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গল্প সমগ্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি উক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬